শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের খালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক জেলের ১৭ দিন পর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, আরাকান আর্মির সদস্যরা ওই জেলেকে অপহরণ করেছিল।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, রবিবার রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেঁড়িবাধ থেকে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান (৪৭) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও দিনমজুর।
নিহতের ছোট ভাই মো. আমির হোসেন বলেন, গত ১ ফেব্রæয়ারি সকালে উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে অন্য জেলেদের সাথে তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানও মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও তার ভাইয়ের সন্ধান পাননি। অপহরণকারিরা স্বজনদের সঙ্গে কোন ধরণের যোগাযোগও করেনি।
তিনি বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যার আগে আগে উখিয়া উপজেলার রহমতেরবিল সীমান্তে চিংড়ি ঘেরে কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম। এক পর্যায়ে তিনি নাফ নদীর বেঁড়িবাধের উপর মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্বজনদের অবহিত করেন। খবরটি শোনার পর বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে স্বজনরা অবহিত করেন। পরে রাত সাড়ে ১১ টায় বিজিবির সহায়তায় রহমতেরবিল সীমান্তের বেঁড়িবাধ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এসময় নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের শরীরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারিরা তাকে বেঁধে রাখায় অনাহারে মৃত্যুর পর মরদেহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যায়।’
ওসি শামীম হোসেন বলেন, সোমবার সকালে খবরটি শোনার পর পুলিশ নিহতের বাড়ী থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার শরীরের আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তবে তার পায়ে রশি বা শিকল জাতীয় কোন কিছু দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। তবে কারা, কি কারণে এ জেলেকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, নিহতের লাশ ময়তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply